মিষ্টি আলু খাওয়ার ৫টি উপকারিতা | 5 benefits of eating sweet potatoes

মিষ্টি আলু খাওয়ার উপকারিতা

আলু এমন একটি সবজি যা আপনি সারাবছর বাজারে পেয়ে যাবেন। বাঙালিদের খাবারে আলু থাকবে না এমনটা কোনো দিন হতে পারে না। বাঙালিরা প্রতিদিন তাদের খাবারে আলু রাখবেই। আলুর মধ্যে নানা ধরণের পুষ্টি গুন রয়েছে। বিশেষজ্ঞড়া জানিয়েছেন সাদা আলুর থেকে মিষ্টি আলুর মধ্যে বেশি পুষ্ঠি গুন রয়েছে। কিন্তু আমরা মিষ্টি আলুর থেকে বেশি সাদা আলু খাই। আমাদের প্রতিদিন হোক বা সপ্তাহে কিছু দিন আমাদের সাদা আলুর বদলে মিষ্টি আলু খাওয়া খুবই দরকারি। মিষ্টি আলু অর্থাৎ যাকে আমরা রাঙা আলু বলে থাকি এর মধ্যে ভিটামিন সি ও এ থাকে এবং পটাসিয়াম ও আরো অনেক খনিজ পদার্থ থাকে। নিয়মিত ভাবে মিষ্টি আলু খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শরীর সুস্থ্য রাখার জন্য মিষ্টি আলু খাওয়া শুরু করুন।


মিষ্টি আলু খাওয়ার উপকারিতা:-


(১) যারা নিজেদের ওজন নিয়ে সচেতন থাকেন তারা তাদের ডায়েটের মধ্যে মিষ্টি আলু যোগ করতে পারেন। এই আলুর মধ্যে বেশি করে ফাইবার থাকে ও ক্যালোরির পরিমান কম থাকে। ফাইবার বেশি থাকার কারণে বার বার খিদে পাবে না জার জন্য ওজন নিয়ন্তনে থাকবে। 


(২) অল্প বয়সে অনেকের দৃষ্টি শক্তি কমে যেতে শুরু করে। দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন খাবারে মিষ্টি আলু যোগ করুন। মিষ্টি আলুর মধ্যে ভিটামিন এ থাকে যা আমাদের চোখের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এছাড়াও মিষ্টি আলুর মধ্যে বিটা ক্যারোটিন নামক উপাদন থাকে যা আমাদের চোখকে সূর্যের থেকে নির্গত অতিবেগুনি রশ্মির থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।


(৩) হজম ক্ষমতা বাড়াতে মিষ্টি আলু ভীষণ ভাবে উপকার করে। মিষ্টি আলুর মধ্যে থাকা ভিটামিন বি ও মিনারেল যা আমাদের হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। যাদের হজমের অসুবিধা অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য ভুগছেন তারা তাদের ডায়েটে মিষ্টি আলু যোগ করতে পারেন।


(৪) মিষ্টি আলু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। মিষ্টি আলুর মধ্যে থাকা বিটা ক্যারোটিন নামক উপাদান থাকে যা পরে ভিটামনি এ তে পরিবর্তন হয়ে যায়। এর জন্য আমাদের শরীরে ফ্রি-রেডিক্যাল কমে যেতে শুরু করে। ফ্রি-রেডিক্যাল কমে যাওয়ার জন্য আমাদের কোষ কম ক্ষতিগ্রস্থ হয় যেই কারণে ক্যান্সারের ঝুকি অনেকটাই কমে যেতে শুরু করে।


(৫) অনেকেই মনে করেন মিষ্টি আলু খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যেতে শুরু করে। কিন্তু এমনটা ঠিক হয় না। মিষ্টি আলুর মধ্যে ফাইবারের মাত্রা বেশি থাকে। ফাইবার যুক্ত খাবার বেশি খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্র নির্দিষ্ট থাকে। যার কারণে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভবনা কমে যেতে থাকে।


আরও পড়ুন:- 


ত্বক সুন্দর ও মসৃণ করার ৫টি ঘরোয়া উপায়


দারুচিনি খেলে কি হবে? দারুচিনির উপকারিতা কি কি


Tags