গরম ভাতের সাথে ঘি খাওয়ার উপকারিতা

 

ঘি এর উপকারিতা


শীতকাল হোক বা গরমকাল সব সময় গরম ভাতের সাথে ঘি আমরা অনেকেই খেয়ে থাকি। ঘি খাবারের গন্ধ ও স্বাদ দ্বিগুন বাড়িয়ে তোলে। ঘি খাওয়া আমাদের সকলের জন্যই খুব দরকারি। অনেকেই মোটা হয়ে যাবার ভয়ে ঘি খাওয়া বন্ধ করে থাকেন। বিশেষজ্ঞড়া বলেন ঘি খেলে ওজন বারে না। যখন কেউ তার দরকারের বেশি ঘি খাওয়া শুরু করে তখন তার ওজন বেড়ে যায়। ওজন বাড়ার পেছনে শুধু ঘি খাওয়া থাকে না অনেক কারণ থাকে। ঘরের তৈরি বিরিয়ানি তে দেওয়া ঘি আমাদের শরীরের ক্ষতি করে না কিন্তু দোকান থেকে আনা বিরিয়ানি বেশি খাওয়া আমাদের স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকারক। কারণ সেই বিরিয়ানিতে ঘিয়ের বদলে রিফাইন তেল ব্যবহার করে থাকে। রিফাইন তেল বেশি পরিমানে খাওয়া উচিত নয়। বাইরের ফাস্টফুড বেশি খেলে আমাদের ওজন বৃদ্ধি পায়, গ্যাস অম্বলের সমস্যা দেখা দেয়, আরও অনেক ক্ষতি হতে পারে। ঘি প্রতিদিন একটি নির্দিষ্টি পরিমানে খাওয়া দরকার। ঘি খাওয়ার ফলে কি কি উপকারিতা আছে নিচে দেওয়া আছে। একবার পরে নিন তারপর ঘি খেতে কোনোদিন ভয় পাবেন না।


ঘি এর উপকারিতা:-


(১) ঘিয়ের মধ্যে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান থাকে যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধের সাথে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। জ্বর সর্দি কাশি হলেই যারা দুর্বল হয়ে পড়েন তাদের ঘি খাওয়া দরকার।


(২) ঘি খেলে আমাদের ত্বক উজ্জ্বল করে ও চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্যে করে। নিয়মিত ভাবে একটি নিদিষ্ট পরিমানে ঘি খাওয়ার ফলে আমাদের মুখ আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে ও ব্রণ বা কালো ছোপ পড়ার সম্ভবনা কমে যায়।


(৩) মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। স্ট্রেস বেশি নিলে আমাদের শরীরের অনেক ক্ষতি হয়। বেশি স্ট্রেস নিলে কাজে মন বসে না। ঘি খেলে মানসিক চাপ কমার পাশাপাশি ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভবনা কমিয়ে দেয়।


(৪) ঘিয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন থাকে। ঘি খেলে হারের শক্তি বৃদ্ধি পায়। দাঁতের ক্ষয় কমাতেও সাহায্য করে।


(৫) ঘিতে প্রচুর পরিমানে বুট্রিক অ্যাসিড পাওয়া যায় ও এর মধ্যে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা আমাদের অন্ত্রের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ঘি খেলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।


(৬) ঘি আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে তোলে। শীতকালে যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত থাকে তাদের চিকিৎসকেরা বেশি করে ঘি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।


(৭) ঘিয়ে উপস্থিত ওমাগা ৩ ও ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের মস্তিস্কের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। বিশেষজ্ঞড়া বলেন ঘি মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ানোর সাথে আমাদের নার্ভের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।


(৮) ঘিয়ের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে উপস্থিত ফ্রী রেডিকেলের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। এর ফলে আমাদের শরীরে নষ্ট হয়ে যাওয়া কোষের সংখ্যা হ্রাস পায় ও ক্যান্সারের ঝুকি কমে যায়।


(৯) চিকিৎসকেরা কোষ্ঠকাঠিন্য যারা ভুগছেন তাদের ঘি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ঘি খাওয়ার জন্য পায়খানা পরিস্কার হয়।


আরও পড়ুন:-


রাতে ঠিক করে ঘুম হচ্ছে না? কোন কোন বাজে অভ্যাস গুলির জন্য রাতে ঘুমের সমস্যা হয়?


৫টি সহজ কোরিয়ান স্কিনকেয়ার টিপস