ঋতুস্রাবের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় জেনে নিন

ঋতুস্রাবের ব্যথা কমানোর উপায়

প্রত্যেক মাসে নারীদের ঋতুস্রাবের সময় প্রচুর ব্যথা হয়। তারা এই ব্যথাতে শারীরিক ও মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পরে কোনো কাজে মন বসে না। ঋতুস্রাবের সময় এই ব্যথা অনেকসময় অসহনীয় হয়ে পরে। এই ব্যথা ঠিক তল পেটের কাছে বেশি হয় ও তারপর আসতে আসতে হাঁটুর দিকে ছড়িয়ে যেতে থাকে। কিন্তু এই ব্যথার মধ্যেও মেয়েদের ঘরে বাইরে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয় কাজ বন্ধ করতে পারে না। ঋতুস্রাবের সময় এমন কিছু কাজ রয়েছি যেগুলি করলে ব্যথা আরও বেড়ে যেতে পারে। এই সময় নারীদের প্রচুর পরিমানে ক্লান্ত হয়ে পরে। এমন কয়েকটি কাজ রয়েছে যেগুলি আপনি ঋতুস্রাবের সময় করলে কিছুটা হলেও ওই অস্বস্থিকর ব্যথার থেকে মুক্তি পাবেন। কি কি সেই কাজ গুলো জেনে নিন।


ঋতুস্রাবের ব্যথা কমানোর উপায়:-


(১) ঋতুস্রাবের ব্যথা কমানোর মধ্যে প্রথমেই আসে গরম জলের সেঁক। এই সময় আপনি গরম জল দিয়ে পেটের মধ্যে সেঁক দিলে কিছুটা হলেও পেটে ব্যথার থেকে আরাম পাবেন। এর জন্য আপনি হট ব্যাগের ব্যবহার করতে পারেন আবার গরম জল দিয়ে স্নান করতেও পারেন। ঠান্ডা জলের পরিবর্তে গরম জল দিয়ে স্নান করুন আরাম পাবেন।


(২) ঋতুস্রাবের ওই কটা দিন দুগ্ধ জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন। দুগ্ধ জাতীয় খাবারের মধ্যে দই, দুধ ইত্যাদি। এই সমস্ত খাবার বেশি খেলে অনেকসম হজমের অসুবিধা হতে দেখা যায় সেই কারণে গ্যাস অম্বলের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এই সময় এমনিতেই খুব পেটে ব্যথা হয় তার মধ্যে যদি গ্যাস অম্বলের সমস্যা হয় তাহলে পেটে ব্যথা বেড়ে যেতে পারে।


(৩) এই সময় মিষ্টি খাওয়া কম করতে হবে। মিষ্টি খাবার খাওয়ার ফলে পেটে ব্যথা আরও বেড়ে যেতে পারে। সেই কারণে ঋতুস্রাবের সময় চিনি জাতীয় খাবার বেশি খাবেন না। তাছাড়া চিনি বেশি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে অনেক রোগ সৃষ্টি হতে পারে। শরীর সুস্থ রাখতে বা ঋতুস্রাবের ব্যথার থেকে কিছুটা মুক্তি পেটে হলে চিনি জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ রাখুন কটা দিনের জন্য।


(৪) আদা আমাদের পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। সেই কারণে যারা ঋতুস্রাবের ব্যথাতে ভুগছেন তারা নিয়মিত আদা খেতে পারেন। আদা আপনি কুচিয়ে ও খেতে পারেন আবার চায়ের সাথে আদর রস মিশিয়েও সেবন করতে পারেন। ঋতুস্রাবের ৩ থেকে ৪ দিন আদা খাওয়ার ফলে পেটে ব্যথা থেকে আরাম পেটে পড়েন।


(৫) ঋতুস্রাবের সময় ক্লান্তির কারণে যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের ব্যায়াম করার ইচ্ছা হয় না। কিন্তু ব্যায়াম প্রতিদিন করার ফলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকে। এই সময় ব্যায়াম করা একদম ছেড়ে না দিয়ে হালকা হালকা ব্যায়াম করুন কোনো ভারী ব্যায়াম করার দরকার নেই। হালকা ব্যায়াম বলতে যোগাসন, কার্ডিয়ো। আপনার যদি একদমই ব্যায়াম করতে ইচ্ছা না হয় তাহলে আপনি হাঁটাচলা করতে পারেন। হাঁটাচলাও ব্যায়ামের মতন কাজ করে।


আরও পড়ুন:-


সফট ড্রিংস খাওয়ার ক্ষতিকর দিক


রাতারাতি স্থায়ীভাবে কালো ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া ৫টি উপায়