আয়রন হলো মানবদেহের অপরিহার্য একটি খনিজ পদার্থ। আয়রন আমদ্সার শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে। যেই কারণে আমাদের যেমন সুস্থ থাকে ও পেশিতে জোর আসে। আয়রন বয়স্ক থেকে শুরু করে বাচ্চা সকলের শরীরে এটি গুরুত্বপুর্ণ। বাচ্চাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলে তার মানসিক বিকাশ ও বুদ্ধির বিকাশে বাধা প্রাপ্ত হয়। আয়রন আমাদের শরীরে লোহিত রক্তকণিকার পাশাপাশি হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে থাকে। শরীরে হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিকের থেকে কম মাত্রায় থাকলে অক্সিজেন পরিবহনে অসুবিধা হয়ে থাকে। শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে আয়রন কমে যেতে বেশি দেখা যায়। মানবদেহে আয়রন কমে গেলে নানা ধরণের লক্ষণ দেখা যায়। শরীরে আয়রনের ঘাটতির লক্ষণ গুলো কি কি জানুন।
শরীরে আয়রনের ঘাটতির লক্ষণ:-
১। শরীরে আয়রনের অভাবে ক্লান্তি দেখা দেবে। শরীরে আয়রন কমে গেলে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে বাধা প্রাপ্ত হবে। হিমোগ্লোবিন কম উৎপাদনের কারণে শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে থাকবে। হিমোগ্লোবিন আমাদর শরীরের অক্সিজেন সরবরাহে সাহায্য করে থাকে। সেই জন্য হোমোগ্লোবিন কমে গেলে ঠিক করে সমস্ত পেশিতে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারবে না। সেই কারণে সবসময় ক্লান্তিভাব থাকবে।
২। আয়রন কমে গেলে রক্তে হিমোগ্লোবনের পরিমান কমে যাবে। হোমোগ্লোবিন রক্তকে লাল রাখতে সাহায্য করে। সেই কারণে আয়রন কমে গেলে ত্বক ফ্যাকাসে হয়ে যেতে পারে। আয়রন কমে যাওয়ার ফলে মুখ, নখ ও চোখের পাতা ফ্যাকাসে হয়ে ওঠে।
৩। আয়রনের অভাবে শরীরে শ্বাসকষ্ট জনিত লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। আয়রন কমে গেলে হিমোগ্লোবিন কমে যাবে সেই কারণে অক্সিজেন পরিবন ঠিক করে হবে না। শরীরে অক্সিজেন ঠিক করে সরবরাহ না হলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখ দেবে।
৪। শরীরে আয়রনের অভাবের কারণে মাথা ঘোরা বা মাথা ব্যাথা শুরু হতে পারে। ঘনঘন মাথা ব্যাথা আয়রনের অভাবে হয়ে থাকে। আয়রনের অভাবে বসে থাকতে থাকতে হটাৎ দাঁড়াতে গেলেই ঘোরানোর মতন সমস্যা দেখস দেয়।
৫। আয়রণের অভাবে মাংসপেশিতে ব্যাথা সৃষ্টি হতে পারে। আয়রনের অভাবে মাংসপেশিতে ব্যাথা বেশি রাতের বেলাতে অথাৎ ঘুমানোর সময় বেশি হতে দেখা যায়।
৬। আয়রনের অভাবে ত্বক ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ত্বক ও চুল রুক্ষ হতে শুরু করে। যেই কারণে আয়রনের অভাবে চুল পড়া বা চুল পাতলা হওয়ার মতন সমস্যা দেখা যায়।
আরও পড়ুন:-
দুপুরে ঘুমালে কি ক্ষতি হয়? দুপুরে ঘুমালে কি মোটা হয় যায়?
গরম ভাতের সাথে ঘি খাওয়ার উপকারিতা