ডায়াবেটিস রোগীর মতন এখন কার সময় আপনি প্রতিটি বাড়িতে কম করে হলেও এক জন উচ্চ রক্তচাপ রোগে ভুগছেন দেখতে পারবেন। উচ্চ রক্তচাপ এটি একটি ভয়ঙ্কর অসুখ এর করণে হার্টের রোগ যেমন হার্ট অ্যাটাকের মতন বড়ো ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। বয়স কালে এই সমস্ত রোগ দেখা দেওয়া একটা সাধারণ সমস্যা কিন্তু অল্প বয়সে এই ধরণের রোগের জন্য আমরা নিজেরাই অনেকটা দায়ী থাকি। এটি সাধারণত ভুল লাইফ স্টাইলে কারণে হয়ে থাকে। উচ্চ রক্তচাপ রোগে যারা ভুগছেন তারা ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি কয়েকটি ঘরোয়া কাজ করতে পারেন। উচ্চ রক্তচাপের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার গুলি কি কি জেনে নিন।
উচ্চ রক্তচাপের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার:—
১। পর্যাপ্ত ঘুম:
বিশেষজ্ঞের প্রতিদিন ৭ ঘন্টা ৮ ঘন্টা ঘুমের পরামর্শ দিয়ে থাকে একজন প্রাপ্ত বয়স্কের জন্য। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে রক্তচাপ ও হৃদ রোগের অসুখ বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা অনেকগুন বেড়ে যায়। সেই কারণে শরীর সুস্থ্য রাখার জন্য রাতে একটি ভালো ঘুমের ভীষণ দরকারী।
২। রসুনের ব্যাবহার:
রসুনের মধ্যে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিত থাকার যা আমাদের শরীরে রক্তনালী ভালো রাখতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপের জন্য প্রতিদিন এক কোয়া করে রসুন খেতে পারেন। রসুনের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাশাপাশি নাইট্রিক অক্সাইড থাকে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে দারুন সাহায্য করে।
৩। ওজন কমানো:
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আপনাকে ওজন কমানোর দিকে নজর দিতে হবে। ওজন বেড়ে যাওয়ার উচ্চ রক্তচাপ রোগ হওয়ার সম্ভবনা অনেক গুন বেড়ে যায়। সেই কারণে আপনার যদি ওজন বেশি থাকে তাহলে কমানোর চেষ্টা করুন ও চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন:- শিশুরা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছে, বাচ্ছাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকার
৪। ব্যায়াম করা:
প্রতিদিন ব্যায়াম করার ফলে আপনার হার্ট ও ধমনী আগের তুলনায় আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। প্রতিদিন কম করে হলেও ৪৫ মিনিট করে ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। ব্যায়াম করতে না পারলে হাঁটা চলা করতে পারেন। জোরে জোরে হাঁটা চলা করলে তা ব্যায়ামের মতন কাজ করে। প্রতিদিন কয়েক মিনিট সাইকেল চালাতে পারেন। উচ্চ রক্তচাপ রোগ থেকে মুক্তি পেটে প্রতিদিন ব্যায়াম করার অভ্যাস করতে হবে।
৫। বাজে অভ্যাস ত্যাগ করা:
মদ্যপান ও ধূমপান করার মতন বাজে অভ্যাস গুলি ত্যাগ করতে হবে। ধূমপান করার ফলে রক্তচাপ কয়েক মিনিটের জন্য বেড়ে যায়। এর ফলে রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্থ হয়। মদ্যপান ও ধূমপান প্রতিদিন করলে আপনার প্রাণ হানির আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৬। পটাসিয়াম যুক্ত খাবার:
ডায়েটে পটাসিয়াম যুক্ত খাবারের মাত্র বাড়াতে হবে। পটাসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এর সাথে প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার পরিমান কমাতে হবে। তরমুজ, কমলা লেবু, কলা, সবুজ শাক, আলু ইত্যাদি খাবার ডায়েটে যোগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন:- ফ্যাটি লিভার ঘরোয়া উপায় ঠিক করার ৫টি উপিয়ে
( হেলথ নিয়ে সমস্ত খবর আগে পেতে আমাদের পেজ গুলিকে ফলো করুন- whatsapp, telegram, facebook, google news )